সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠানের সূচি থাকলেও অতিথিদের বিলম্বে উপস্থিতির কারণে ফুল হাতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় তাদের।
বেগম রোকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে আসা নিউ ফ্রেন্ডস প্রি ক্যাডেট স্কুল বৈরাগীগঞ্জের শিক্ষিকা জানাতুল ফেরদৌস জেমি বলেন, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে সময়ানুবর্তিতা প্রত্যাশিত ছিল। বেগম রোকেয়ার মতো বিপ্লবী নারীর স্মৃতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমন উদাসীনতা দুঃখজনক। এটি যেন তার প্রতি অসম্মানের প্রকাশ।’
কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, নারী স্বাধীনতার অগ্রদূত বেগম রোকেয়াকে নিয়ে আজও বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। রোকেয়ার জীবন সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা যে সমতার কথা শিখেছি, সেই আদর্শ অনুষ্ঠানের আয়োজনেও প্রতিফলিত হওয়া উচিত ছিল।
বেগম রোকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে আসা নিউ ফ্রেন্ডস প্রি ক্যাডেট স্কুল বৈরাগীগঞ্জের শিক্ষার্থী জুথি বলেন, সকাল ৮টায় আসছি। ঠান্ডায় খুব কষ্ট হচ্ছে, ক্ষুধাও লাগছে। এখন চলে যাচ্ছি বাসায়।
আয়োজকরা বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, শহরে নানা প্রোগ্রামের কারণে অতিথিদের আসতে দেরি হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা এমন অব্যবস্থাপনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে সময়ানুবর্তিতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সালকে গণমাধ্যমকর্মীরা সকাল থেকেই কয়েক দফায় ফোন করলে, শহরে চলমান একটি প্রোগ্রাম শেষ করে কিছুক্ষণের মধ্যে রওনা করবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে সময় গড়িয়ে গেলেও দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তালিকাভুক্ত কোনো অতিথিদের দেখা মেলেনি বেগম রোকেয়ার জন্ম ভিটায়।