রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর আমরা এই মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করেছি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেগম খালেদা জিয়া।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বলেন, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমাদের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আমি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছি। তিনি সম্মতি দিয়ে বলেছেন, শরীর ভালো থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের এই সমাবেশ তিনি আসবেন। আমাদের প্রত্যাশা ম্যাডাম এই সমাবেশ যোগ দেবেন।
২১ ডিসেম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সারা দেশ থেকে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে জানিয়ে সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর এই সমাবেশটি দেশনেত্রীকে সামনে রেখে করার প্রেক্ষাপটে আমরা এর ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
সবশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার লা মেরিডিয়ানে বিএনপির বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খালেদা জিয়া। এটিই ছিল তার শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি। এর চারদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার রায়ে সাজা পেয়ে কারাগারে যান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরে খালেদা জিয়া সাজামুক্ত হলেও প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। বিপ্লবের পর তিনি ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে।
এরপর গত ২১ নভেম্বর সশ্বস্ত্র বাহিনী দিবসের দিন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আমন্ত্রণে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর এটিই ছিল খালেদা জিয়ার প্রথম সশরীরে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ভর্চুয়ালি যোগ দেবেন।’