ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় ঢুকে পরমাণু সুরক্ষা বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

রাশিয়ায় ঢুকে পরমাণু সুরক্ষা বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের।

রাশিয়ার পারমাণবিক সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলোভকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেনের এসবিইউ গোয়েন্দা সার্ভিস। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে স্কুটারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে কিরিলোভের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল কিয়েভ। খবর রয়টার্সের।

এদিন মস্কোতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের বাইরে একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে বোমা লুকিয়ে রাখা হয়। এ সময় বিস্ফোরণে সহকারীসহ নিহত হন রাশিয়ার পরমাণু, জৈবিক ও রাসায়নিক সুরক্ষা ব্রিগেডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলোভ।


একটি এসবিইউ সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে যে, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই হামলার পেছনে ছিল।

 সূত্রটি বলেছে, বিস্ফোরক রেখে স্কুটারটিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, এতে কিরিলোভ এবং তার সহযোগী উভয়ই নিহত হন। 

সূত্র আরও জানায়, যখন তারা মস্কোর রিয়াজানস্কি প্রসপেক্টেরে একটি বাড়ির প্রবেশপথে আসেন তখন বাইরে রাখা স্কুটারে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
 
কিরিলোভ (৫৪) সবচেয়ে সিনিয়র রুশ সামরিক কর্মকর্তা; যাকে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে এভাবে হত্যা করল ইউক্রেন। এই ঘটনা সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা প্রোটোকল পর্যালোচনা করতে প্ররোচিত করতে পারে। এছাড়া মস্কো এই হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার উপায় খুঁজতে মরিয়া বলেও মনে করা হচ্ছে। 
 
এরইমধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ একজন সিনিয়র রাশিয়ান নিরাপত্তা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় আরআইএ বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, তারা এখন কিরিলোভের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন।
 
মস্কো তার মাটিতে বেশ কয়েকটি হাইপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। যা তাদের মনোবল দুর্বল করতে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। এছাড়া যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী কিয়েভকে শাস্তি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে রাশিয়া। 
 
অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া তাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে তাদের জন্য অস্তিত্বের হুমকি তৈরি করেছে। ফলে এই ধরণের হামলা তাদের পক্ষ থেকে বৈধ।
 
 
রুশ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই দুই সেনা সদস্যকে হত্যার জন্য এরমধ্যেই একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
১০ বার পড়া হয়েছে

রাশিয়ায় ঢুকে পরমাণু সুরক্ষা বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের

আপডেট সময় ০৮:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রাশিয়ায় ঢুকে পরমাণু সুরক্ষা বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের।

রাশিয়ার পারমাণবিক সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলোভকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেনের এসবিইউ গোয়েন্দা সার্ভিস। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে স্কুটারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে কিরিলোভের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল কিয়েভ। খবর রয়টার্সের।

এদিন মস্কোতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের বাইরে একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে বোমা লুকিয়ে রাখা হয়। এ সময় বিস্ফোরণে সহকারীসহ নিহত হন রাশিয়ার পরমাণু, জৈবিক ও রাসায়নিক সুরক্ষা ব্রিগেডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলোভ।


একটি এসবিইউ সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে যে, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই হামলার পেছনে ছিল।

 সূত্রটি বলেছে, বিস্ফোরক রেখে স্কুটারটিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, এতে কিরিলোভ এবং তার সহযোগী উভয়ই নিহত হন। 

সূত্র আরও জানায়, যখন তারা মস্কোর রিয়াজানস্কি প্রসপেক্টেরে একটি বাড়ির প্রবেশপথে আসেন তখন বাইরে রাখা স্কুটারে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
 
কিরিলোভ (৫৪) সবচেয়ে সিনিয়র রুশ সামরিক কর্মকর্তা; যাকে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে এভাবে হত্যা করল ইউক্রেন। এই ঘটনা সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা প্রোটোকল পর্যালোচনা করতে প্ররোচিত করতে পারে। এছাড়া মস্কো এই হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার উপায় খুঁজতে মরিয়া বলেও মনে করা হচ্ছে। 
 
এরইমধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ একজন সিনিয়র রাশিয়ান নিরাপত্তা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় আরআইএ বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, তারা এখন কিরিলোভের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন।
 
মস্কো তার মাটিতে বেশ কয়েকটি হাইপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। যা তাদের মনোবল দুর্বল করতে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। এছাড়া যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী কিয়েভকে শাস্তি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে রাশিয়া। 
 
অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া তাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে তাদের জন্য অস্তিত্বের হুমকি তৈরি করেছে। ফলে এই ধরণের হামলা তাদের পক্ষ থেকে বৈধ।
 
 
রুশ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই দুই সেনা সদস্যকে হত্যার জন্য এরমধ্যেই একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।