ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo থানচিতে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সহায়তা Logo কেউ যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল Logo নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন Logo অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছেন কোহলিরা Logo যশোরে নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের ১২৫ নেতাকর্মী কারাগারে Logo আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দল নিয়ে নির্বাচন হবে, তারা ফিরবে বিচারের পর: আব্দুস সালাম Logo সারজিসের আশ্বাসে শাহবাগ ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দাবি Logo পরিবর্তন আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচিতে, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন Logo ইয়েমেনে দফায় দফায় বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের Logo ‘জনশক্তি’ নাম নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান সামান্তার

ভিসি কোটার বলে কম নম্বরধারীদের ৮০ শতাংশই পড়ছেন প্রথম সারির বিভাগে!

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ভিসি কোটার বলে কম নম্বরধারীদের ৮০ শতাংশই পড়ছেন প্রথম সারির বিভাগে!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অদ্ভুত এক কোটা পদ্ধতির নাম উপাচার্য বা ভিসি কোটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়েও নম্বর কম পাওয়ার কারণে ভর্তি না হতে পারা শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে এই উপাচার্য কোটার সুবিধা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন প্রথম সারির সব বিভাগে। যদিও আন্দোলনের মুখে বর্তমান প্রশাসন এই কোটায় নাতি/নাতনি ভর্তি বন্ধের সিন্ধান্ত নিয়েছে।

 

দেশের আইন অনুযায়ী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি/নাতনিদের জন্য পর্যাপ্ত কোটা সুবিধা আছে। তবে, এর বাইরে উপাচার্য কোটার অধীনে ২০টি আসন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমতি/সম্মতি সাপেক্ষে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি/নাতনিরা ভর্তি হন।


জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটাতেও যারা ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হন, তারা বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে এই উপাচার্য কোটার সুবিধা নিয়েছেন। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে কম নম্বরধারীরাই ভর্তি হয়েছেন।


সময় সংবাদ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ (৪৬ ব্যাচ) থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ (৫৩ ব্যাচ) পর্যন্ত এই ৮ বছরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা দেখেছে। এতে দেখা যায়, প্রতি বছর ২০ জন করে ভর্তি হওয়া ১৬০ জনের মধ্যে প্রায় সবাই প্রথম সারির বিভাগগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। যার আবার অধিকাংশই বিজ্ঞানভিত্তিক বিভাগ। এসবের সমাজে যেমন মূল্যায়ন আছে, তেমনি আছে চাকরির বাজার ও বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ।

সবচেয়ে বেশি ১০ জন ভর্তি হয়েছেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। ৭ জন করে ভর্তি হয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পরিসংখ্যান, প্রত্নতত্ব ও কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে। ৬ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকটোলজি, প্রাণীবিদ্যা, সরকার ও রাজনীতি এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে। ৫ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ বিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে। আর আইন অনুষদ, গণিত, তুলনামূলক সাহিত্যে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন শিক্ষার্থী।

এর বিপরীতে নৃবিজ্ঞানে একজন, দর্শনে তিন জন, বাংলায় একজন, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ আলী রেজা জানান, এই কোটায় দুইভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করার পর যাদের বিভাগ আসে না তারা উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন। আবার যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির যোগ্য হয়েছেন, কিন্তু বিভাগ ভালো আসেনি তারাও ভালো বিভাগে ভর্তি হতে আবেদন করেন। সেখান থেকেই আগের উপাচার্যরা তার পছন্দমতো ২০ জনকে বাছাই করেছেন। তবে, যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি হতে পারেননি তাদেরই বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন।  

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা শাখার অপর এক কর্মকর্তা জানান, এই কোটায় ভর্তিতে তদবির হয়। প্রতিবছর অনেক ফোন আসে, যারা অপেক্ষমাণ তালিকার অনেক পেছনে। ভর্তির যোগ্যতা নেই। যখন যে উপাচার্য থেকেছেন তারা এই কোটার সুবিধায় পছন্দমতো বা তদবিরে ভর্তি করানোর অনুমতি দিয়েছেন।

একই রকম তথ্য দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি/নাতনিরা যখন মুক্তিযোদ্ধা কোটাতেও ভর্তির সু্যোগ পায় না, তখন ভিসি কোটার জন্য আবেদন গ্রহন শুরু হলে তদবিরের মধ্যমে সবচেয়ে ভাল বিভাগগুলোতে ভর্তি হয়। আমি বলব না যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগ ভাল, কোন বিভাগ খারাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া সকল বিভাগ থেকেই চাইলে ভাল কিছু করা যায়। তবে কোটার শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে চাহিদার ভিত্তিতে অপেক্ষাকৃত ভাল বিভাগে পড়তে আগ্রহী।

ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে উপাচার্য কোটা একটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। আমি দ্বিধাহীনভাবে বলতে চাই এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাকর। এখানে নূন্যতম পাশ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিগত প্রসাশনে তদবিরের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। যেখানে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তাই এবারের ভর্তি পরীক্ষা থেকে এই ভিসি কোটায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনিরা ভর্তি হতে পারবে না।’

এই উপাচার্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় ৯০ শতাংশই নাতি/নাতনি ক্যাটাগরিতে আসা। যদিও, আন্দোলনের মুখে উপাচার্য কোটার ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি/নাতনিরা ভর্তি হতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় জাবি প্রশাসন। তবে, এই কোটা এখনও বাতিল করা হয়নি। এদিকে, পোষ্য কোটাও বাতিল করার দাবি জোরালো হয়েছে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
২ বার পড়া হয়েছে

ভিসি কোটার বলে কম নম্বরধারীদের ৮০ শতাংশই পড়ছেন প্রথম সারির বিভাগে!

আপডেট সময় ০৪:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভিসি কোটার বলে কম নম্বরধারীদের ৮০ শতাংশই পড়ছেন প্রথম সারির বিভাগে!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অদ্ভুত এক কোটা পদ্ধতির নাম উপাচার্য বা ভিসি কোটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়েও নম্বর কম পাওয়ার কারণে ভর্তি না হতে পারা শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে এই উপাচার্য কোটার সুবিধা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন প্রথম সারির সব বিভাগে। যদিও আন্দোলনের মুখে বর্তমান প্রশাসন এই কোটায় নাতি/নাতনি ভর্তি বন্ধের সিন্ধান্ত নিয়েছে।

 

দেশের আইন অনুযায়ী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি/নাতনিদের জন্য পর্যাপ্ত কোটা সুবিধা আছে। তবে, এর বাইরে উপাচার্য কোটার অধীনে ২০টি আসন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমতি/সম্মতি সাপেক্ষে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি/নাতনিরা ভর্তি হন।


জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটাতেও যারা ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হন, তারা বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে এই উপাচার্য কোটার সুবিধা নিয়েছেন। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে কম নম্বরধারীরাই ভর্তি হয়েছেন।


সময় সংবাদ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ (৪৬ ব্যাচ) থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ (৫৩ ব্যাচ) পর্যন্ত এই ৮ বছরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা দেখেছে। এতে দেখা যায়, প্রতি বছর ২০ জন করে ভর্তি হওয়া ১৬০ জনের মধ্যে প্রায় সবাই প্রথম সারির বিভাগগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। যার আবার অধিকাংশই বিজ্ঞানভিত্তিক বিভাগ। এসবের সমাজে যেমন মূল্যায়ন আছে, তেমনি আছে চাকরির বাজার ও বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ।

সবচেয়ে বেশি ১০ জন ভর্তি হয়েছেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। ৭ জন করে ভর্তি হয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পরিসংখ্যান, প্রত্নতত্ব ও কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে। ৬ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকটোলজি, প্রাণীবিদ্যা, সরকার ও রাজনীতি এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে। ৫ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ বিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে। আর আইন অনুষদ, গণিত, তুলনামূলক সাহিত্যে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন শিক্ষার্থী।

এর বিপরীতে নৃবিজ্ঞানে একজন, দর্শনে তিন জন, বাংলায় একজন, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ আলী রেজা জানান, এই কোটায় দুইভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করার পর যাদের বিভাগ আসে না তারা উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন। আবার যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির যোগ্য হয়েছেন, কিন্তু বিভাগ ভালো আসেনি তারাও ভালো বিভাগে ভর্তি হতে আবেদন করেন। সেখান থেকেই আগের উপাচার্যরা তার পছন্দমতো ২০ জনকে বাছাই করেছেন। তবে, যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি হতে পারেননি তাদেরই বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন।  

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা শাখার অপর এক কর্মকর্তা জানান, এই কোটায় ভর্তিতে তদবির হয়। প্রতিবছর অনেক ফোন আসে, যারা অপেক্ষমাণ তালিকার অনেক পেছনে। ভর্তির যোগ্যতা নেই। যখন যে উপাচার্য থেকেছেন তারা এই কোটার সুবিধায় পছন্দমতো বা তদবিরে ভর্তি করানোর অনুমতি দিয়েছেন।

একই রকম তথ্য দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি/নাতনিরা যখন মুক্তিযোদ্ধা কোটাতেও ভর্তির সু্যোগ পায় না, তখন ভিসি কোটার জন্য আবেদন গ্রহন শুরু হলে তদবিরের মধ্যমে সবচেয়ে ভাল বিভাগগুলোতে ভর্তি হয়। আমি বলব না যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগ ভাল, কোন বিভাগ খারাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া সকল বিভাগ থেকেই চাইলে ভাল কিছু করা যায়। তবে কোটার শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে চাহিদার ভিত্তিতে অপেক্ষাকৃত ভাল বিভাগে পড়তে আগ্রহী।

ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে উপাচার্য কোটা একটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। আমি দ্বিধাহীনভাবে বলতে চাই এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাকর। এখানে নূন্যতম পাশ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিগত প্রসাশনে তদবিরের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। যেখানে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তাই এবারের ভর্তি পরীক্ষা থেকে এই ভিসি কোটায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনিরা ভর্তি হতে পারবে না।’

এই উপাচার্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় ৯০ শতাংশই নাতি/নাতনি ক্যাটাগরিতে আসা। যদিও, আন্দোলনের মুখে উপাচার্য কোটার ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি/নাতনিরা ভর্তি হতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় জাবি প্রশাসন। তবে, এই কোটা এখনও বাতিল করা হয়নি। এদিকে, পোষ্য কোটাও বাতিল করার দাবি জোরালো হয়েছে।