২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উঠবেন হোয়াইট হাউসে। তার আগে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছাড়তে হবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। এরই মধ্যে সেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে শেষবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাইডেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস জানায়, আগামী বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার মাত্র কয়েকদিন আগে নতুন করে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মূলত ইউক্রেনকে সহায়তার অংশ হিসেবে জ্বালানি থেকে রাশিয়ার আয় কমাতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মার্কিন অর্থ দফতর জানায়, ১৮০ টিরও বেশি জাহাজের পাশাপাশি রুশ জ্বালানি তেলের কোম্পানি গ্যাজপ্রোম নেফ্ট ও সারগুটনেফতেগ্যাসকে নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার এক বক্তব্যে বাইডেন বলেন, রাশিয়ার তেলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে প্রতি গ্যালন গ্যাসের দাম তিন থেকে চার সেন্ট পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে এর মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের কথা উল্লেখ কর বাইডেন আরও বলেন, যুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের বিজয়ের একটি সত্যিকারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া এই যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য ব্যাপক ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে মনে করেনি তিনি।
একই দিন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডসে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম বন্ধে মেটার নেয়া সিদ্ধান্তকে লজ্জাজনক বলে আখ্যা দেন বাইডেন।
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) মার্কিন ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম বন্ধ করার পাশাপাশি অভিবাসন এবং লিঙ্গ পরিচয়ের মতো বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনার ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার কথা জানায় মেটা।
মার্কিন এ টেক জায়ান্টের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।