এবার পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সম্পদ বাজেয়াপ্তের জন্য আইন প্রণয়ন করছে রাশিয়া। নিজেদের সম্পদ জব্দের পাল্টা ‘প্রতিশোধ’ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছরে বহু নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্ররা ব্রাসেলস-ভিত্তিক ইউরোক্লিয়ারে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রুশ সম্পদ জব্দ করে রেখেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বাজেয়াপ্ত সম্পদ নিজ দেশের সামরিক খরচ ও পুনর্গঠনে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে পশ্চিমাদের এমন পদক্ষেপকে ‘চুরি’ বলে ব্যাখ্যা দিয়ে আসছে ক্রেমলিন। এবার এর বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে মস্কো। পশ্চিমাদের সম্পদ জব্দে নতুন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, রাশিয়ার সঙ্গে জড়িত পশ্চিমা ব্যবসায়ীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে একটি খসড়া বিল আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। চূড়ান্ত রায়ের পর পশ্চিমা সম্পদ রাশিয়ান মালিকানায় পরিবর্তন করা হবে। রাশিয়ার বৈদেশিক বিনিয়োগ কমিশন কোন কোন সম্পদ ও তহবিল জব্দ করা হবে এর তালিকা প্রস্তুত করবে।
রুশ গণমাধ্যম জানায়, আদালতে বিল পাসের মূল উদ্দেশ্য হলো রুশ সম্পদ কেড়ে নেয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ জবাব দেয়া।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার ভিডিও কলে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনায় বসতে সম্মতি জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ ছাড়াও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। ফোনালাপে শি জিনপিং মস্কো-বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন।
এরমধ্যেই, ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও দৃঢ়তা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইইউকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে না। ইউরোপ ওয়াশিংটনের কৌশলগত অগ্রাধিকারের মধ্যে নেই বলেও সমালোচনা করেন তিনি।