ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে বৃহত্তম বিক্ষোভ: গাজায় বন্দিদের মুক্তিতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চাইলেন স্বজনেরা

নিজস্ব সংবাদ :

 

গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে রোববার (১৭ আগস্ট) ইসরায়েলের তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বন্দিদের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।

বিক্ষুব্ধ স্বজনরা এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানায়, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও।

হামাসের হাতে বন্দি থাকা ওমরি মিরানের স্ত্রী লিশা মিরান-লাভি বলেন, “এই মুহূর্তে প্রতিটি পদক্ষেপই আমাদের জন্য জীবন-মরণের প্রশ্ন। এমন একটি চুক্তির দরকার যা এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এবং বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আহ্বান জানাই—অনুগ্রহ করে আমাদের সাহায্য করুন, এই চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখুন।”

বন্দি রম-এর বাবা ওফির ব্রাসলাভস্কিও একই সুরে বলেন, “রম ক্ষুধার্ত, আতঙ্কিত, শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে। আমরা চাই এই যুদ্ধ বন্ধ হোক।”

আয়োজকদের মতে, গত প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। প্রতিবাদকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন, সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং বিভিন্ন রাজনীতিকের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান, এমনকি আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানান।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবাদ চলাকালে অন্তত ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে। সরকারের নতুন সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই মূলত এই বিক্ষোভের সূত্রপাত, যা জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
৮২ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলে বৃহত্তম বিক্ষোভ: গাজায় বন্দিদের মুক্তিতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চাইলেন স্বজনেরা

আপডেট সময় ০২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

 

গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে রোববার (১৭ আগস্ট) ইসরায়েলের তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বন্দিদের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।

বিক্ষুব্ধ স্বজনরা এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানায়, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও।

হামাসের হাতে বন্দি থাকা ওমরি মিরানের স্ত্রী লিশা মিরান-লাভি বলেন, “এই মুহূর্তে প্রতিটি পদক্ষেপই আমাদের জন্য জীবন-মরণের প্রশ্ন। এমন একটি চুক্তির দরকার যা এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এবং বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আহ্বান জানাই—অনুগ্রহ করে আমাদের সাহায্য করুন, এই চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখুন।”

বন্দি রম-এর বাবা ওফির ব্রাসলাভস্কিও একই সুরে বলেন, “রম ক্ষুধার্ত, আতঙ্কিত, শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে। আমরা চাই এই যুদ্ধ বন্ধ হোক।”

আয়োজকদের মতে, গত প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। প্রতিবাদকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন, সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং বিভিন্ন রাজনীতিকের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান, এমনকি আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানান।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবাদ চলাকালে অন্তত ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে। সরকারের নতুন সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই মূলত এই বিক্ষোভের সূত্রপাত, যা জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।