ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন কর্নেল অলি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

 সংসদ নির্বাচনে আর অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ইউনিয়নের বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।

 

এ সময় বর্ষীয়ান রাজনীতিক অলি আহমদ তাঁর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার আংশিক) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে পরিচয় করিয়ে দেন। সানিও এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

অলি আহমদ বণিকপাড়া ছাড়াও উপজেলার যেসব মণ্ডপে যান, সেখানে ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেন। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আর নির্বাচন করব না, সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। সে ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য অলি আহমদ দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে গঠন করেন এলডিপি। শুভেচ্ছা বিনিময়ে ছেলেকে দেখিয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘আপনাদের চিন্তা হচ্ছে, আমার স্থলাভিষিক্ত কে হবে? আপনাদের ছায়া দেবে কে? সে (ছেলে) আপনাদের খেদমত করবে। আমিও যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের ছেড়ে যাব না।’ তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের ওপর অর্পণ করলাম।’

আপনারা আমার ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা– প্রশ্ন রেখে নেতাকর্মীকে হাত তুলতে বলেন অলি আহমদ। উপস্থিত নেতাকর্মী হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমি এ এলাকায় আসিনি। কারণ আমি এলে, যারা আমার সাথে দেখা করতে আসত, তাদের তৎকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাত। নেতাকর্মীকে আমি বিপদে ফেলতে চাইনি।

 

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ, এগুলো কি মানা যায়?’

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। সর্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য আমাকে বলা হয়েছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। এজন্য আমিই তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার অনুরোধ করেছিলাম। তার প্রমাণ আমার কাছে এখনও আছে, চাইলে দেখতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এখন কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। যে কোনো প্রয়োজনে আমি, আমার ছেলে ও এলডিপির নেতাকর্মীকে পাশে পাবেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সহসভাপতি এ জি এম শাহজাহান, সাতকানিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভার সভাপতি আইনুল কবির, উত্তর সাতকানিয়ার সাধারণ সম্পাদক হোসাইন উদ্দিন ভুট্টো প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
১০৯ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন কর্নেল অলি

আপডেট সময় ০৬:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

 সংসদ নির্বাচনে আর অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ইউনিয়নের বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।

 

এ সময় বর্ষীয়ান রাজনীতিক অলি আহমদ তাঁর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার আংশিক) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে পরিচয় করিয়ে দেন। সানিও এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

অলি আহমদ বণিকপাড়া ছাড়াও উপজেলার যেসব মণ্ডপে যান, সেখানে ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেন। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আর নির্বাচন করব না, সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। সে ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য অলি আহমদ দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে গঠন করেন এলডিপি। শুভেচ্ছা বিনিময়ে ছেলেকে দেখিয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘আপনাদের চিন্তা হচ্ছে, আমার স্থলাভিষিক্ত কে হবে? আপনাদের ছায়া দেবে কে? সে (ছেলে) আপনাদের খেদমত করবে। আমিও যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের ছেড়ে যাব না।’ তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের ওপর অর্পণ করলাম।’

আপনারা আমার ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা– প্রশ্ন রেখে নেতাকর্মীকে হাত তুলতে বলেন অলি আহমদ। উপস্থিত নেতাকর্মী হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমি এ এলাকায় আসিনি। কারণ আমি এলে, যারা আমার সাথে দেখা করতে আসত, তাদের তৎকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাত। নেতাকর্মীকে আমি বিপদে ফেলতে চাইনি।

 

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ, এগুলো কি মানা যায়?’

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। সর্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য আমাকে বলা হয়েছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। এজন্য আমিই তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার অনুরোধ করেছিলাম। তার প্রমাণ আমার কাছে এখনও আছে, চাইলে দেখতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এখন কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। যে কোনো প্রয়োজনে আমি, আমার ছেলে ও এলডিপির নেতাকর্মীকে পাশে পাবেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সহসভাপতি এ জি এম শাহজাহান, সাতকানিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভার সভাপতি আইনুল কবির, উত্তর সাতকানিয়ার সাধারণ সম্পাদক হোসাইন উদ্দিন ভুট্টো প্রমুখ।