আজ থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ
আজ থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ।
সুপারশপের পর কাঁচাবাজারেও আজ শুক্রবার থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সব স্তরের মানুষ। তবে তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে বাড়াতে হবে সচেতনতা। পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধেও শুরু হবে অভিযান।
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন অনুবিভাগ)। সদস্য হিসেবে থাকছেন যুগ্ম সচিব (পরিবেশ-১ অধিশাখা), উপসচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২) এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (পরিবেশ-৩)।
এ কমিটি ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী পরিচালিত পলিথিন বন্ধের অভিযান দেখভাল করবে। মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও প্রয়োজনে মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরও একটি আলাদা কমিটি গঠন করবে। অধিদপ্তরের কমিটি প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর পরিচালিত অভিযানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে পাঠাবে। মনিটরিং কমিটি আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট এবং এর আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপ ও বাজারের অভিযান পরিচালনা করবে।
২০০২ সালে সরকার আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ বাজারগুলোকে পলিথিনমুক্ত করেছিলেন। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর তিনি যখন পলিথিন থেকে মুক্তির ঠিক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরও বাজারে তেমন পলিথিন দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের শুরুর দিকেও পলিথিন ব্যবসায়ীরা বাজারে ঢুকতে পারেনি। পরে ধীরে ধীরে বিগত সরকারের শিথিল নীতির কারণে পলিথিনে সয়লাব হয়ে ওঠে বাজার। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিন নিষিদ্ধের আইনের কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে এ ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আজ থেকে কাঁচাবাজারেও ব্যাগটির ব্যবহার করা যাবে না।