ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তায়ন ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে: ফখরুল Logo প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইপিআর নির্দেশিকা প্রণয়ন হচ্ছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা Logo আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গিলসহ চার ভারতীয় ক্রিকেটারকে তলব সিআইডির Logo অবশেষে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম Logo সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক Logo বিশ্বের দ্রুততম হাই-স্পিড ট্রেনের প্রোটোটাইপ চালু হচ্ছে চীনে Logo ৪৩ তম বিসিএসে বাদ পড়ারা আবেদন করলে পুনর্বিবেচনা করবে সরকার Logo সেরা ব্রান্ডের সম্মান অর্জন করল ‘ডিপ্লোমা’ Logo অর্থবছর ২০২৪-২৫: ৬ মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ১২.৮৪ শতাংশ Logo মৃত গরু পড়ে থাকার ছবিটি আসলে কোন সালের?

ভারতকে আমাদের তরকারিতে লবণ দিতে হবে না: জামায়াতের আমির

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ভারতকে আমাদের তরকারিতে লবণ দিতে হবে না: জামায়াতের আমির।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন আসলেই একটি দেশ (ভারত) ঠিক করে কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু এবার সেই সুযোগ আর নাই। আমাদের তরকারিতে আমরাই লবণ দিবো। দেশের জনগণ লবণ দিতে জানে। তাই ভারতকে বলব, আমাদের তরকারিতে লবণ না দিয়ে আপনারা আপনাদের তরকারিতে লবণ দেন।

 

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করেছে যে, বাংলাদেশের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসে তাদের ভূমিকাই বেশি। এই বিজয়কে তাদের বিজয় বলে দাবি করেছে। আমরা নরেন্দ্র মোদির টুইটের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, দরদ আছে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালায় না। আপনারা জানেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আওয়ামী লীগ বিনা অপরাধে ফাঁসি দিয়েছে। বিচারিক আদালতের নামে তাদেরকে হত্যা করেছে। নেতাদের একজনও বাংলাদেশ থেকে পালায়নি। কিন্তু তিনি আর ডামি সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দরদ নাই বলেই পালিয়ে গেছে। তারা আবার স্বপ্ন দেখছে দেশে ফেরার। জনগণও চায় আপনারা দেশে আসুন। তারা আপনাদের বিচার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’
 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অপার সম্ভাবনার একটি দেশ বাংলাদেশ। এই দেশের জমিনের ওপরে সবুজ গালিচায় ঢাকা মাটিতে আল্লাহ প্রচুর খনিজ সম্পদ দান করেছেন। এ দেশের বাতাস বসবাসের উপযোগী ও অনুকূল। এমন একটি দেশের কেন এমন পরিণতি হলো। এর কারণ হচ্ছে, যারা বিভিন্ন সময়ে দেশ শাসন করেছেন তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা জনগণের আমানতকে নিজের পকেটে ঢুকিয়েছে। ১৫ বছরে লক্ষ কোটি টাকা বাইরে পাচার করা হয়েছে। কারা পাচার করেছে আপনারা তা জানেন।’
 
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে। সবক্ষেত্রে দেশাত্ববোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারী, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। কেউ কোনোভাবে অন্যায়ের শিকার হবে না।’

ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা হলো বাংলাদেশের ভেতরে। বাইরের না। অথচ এই জেলা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। এ জেলায় মানুষের অনেক দিনের দাবি বিমানবন্দরটি পুনরায় যেন চালু। সুচিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমরা আজকের এই ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে ঠাকুরগাঁওবাসীর দাবিগুলো তুলে ধরব। এই সরকারের আমলে বড় কোনো বাজেট আসলে যাতে জেলাবাসীর দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে।
 
 
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর ও সহকারি সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিন উদ্দিন আহমেদ। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
৩ বার পড়া হয়েছে

ভারতকে আমাদের তরকারিতে লবণ দিতে হবে না: জামায়াতের আমির

আপডেট সময় ১১:২২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতকে আমাদের তরকারিতে লবণ দিতে হবে না: জামায়াতের আমির।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন আসলেই একটি দেশ (ভারত) ঠিক করে কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু এবার সেই সুযোগ আর নাই। আমাদের তরকারিতে আমরাই লবণ দিবো। দেশের জনগণ লবণ দিতে জানে। তাই ভারতকে বলব, আমাদের তরকারিতে লবণ না দিয়ে আপনারা আপনাদের তরকারিতে লবণ দেন।

 

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করেছে যে, বাংলাদেশের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসে তাদের ভূমিকাই বেশি। এই বিজয়কে তাদের বিজয় বলে দাবি করেছে। আমরা নরেন্দ্র মোদির টুইটের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, দরদ আছে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালায় না। আপনারা জানেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আওয়ামী লীগ বিনা অপরাধে ফাঁসি দিয়েছে। বিচারিক আদালতের নামে তাদেরকে হত্যা করেছে। নেতাদের একজনও বাংলাদেশ থেকে পালায়নি। কিন্তু তিনি আর ডামি সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দরদ নাই বলেই পালিয়ে গেছে। তারা আবার স্বপ্ন দেখছে দেশে ফেরার। জনগণও চায় আপনারা দেশে আসুন। তারা আপনাদের বিচার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’
 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অপার সম্ভাবনার একটি দেশ বাংলাদেশ। এই দেশের জমিনের ওপরে সবুজ গালিচায় ঢাকা মাটিতে আল্লাহ প্রচুর খনিজ সম্পদ দান করেছেন। এ দেশের বাতাস বসবাসের উপযোগী ও অনুকূল। এমন একটি দেশের কেন এমন পরিণতি হলো। এর কারণ হচ্ছে, যারা বিভিন্ন সময়ে দেশ শাসন করেছেন তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা জনগণের আমানতকে নিজের পকেটে ঢুকিয়েছে। ১৫ বছরে লক্ষ কোটি টাকা বাইরে পাচার করা হয়েছে। কারা পাচার করেছে আপনারা তা জানেন।’
 
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে। সবক্ষেত্রে দেশাত্ববোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারী, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। কেউ কোনোভাবে অন্যায়ের শিকার হবে না।’

ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা হলো বাংলাদেশের ভেতরে। বাইরের না। অথচ এই জেলা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। এ জেলায় মানুষের অনেক দিনের দাবি বিমানবন্দরটি পুনরায় যেন চালু। সুচিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমরা আজকের এই ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে ঠাকুরগাঁওবাসীর দাবিগুলো তুলে ধরব। এই সরকারের আমলে বড় কোনো বাজেট আসলে যাতে জেলাবাসীর দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে।
 
 
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর ও সহকারি সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিন উদ্দিন আহমেদ।