ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় চীনের বিশেষ মেডিকেল টিম Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকিরের ফিউনারেল প্যারেড ও জানাজা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান নয় — জানাল আইএসপিআর Logo মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা Logo উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা: উদ্ধার তৎপরতা আপাতত শেষ, পুনরায় শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে Logo “নিজের কাছেই ব্যর্থ, পরিবারগুলিকে কী বলব?”—বিমানের দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়লেন ইউনূস Logo উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২০, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭১ জন

মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার।

মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার ৩০ ও ৩৪ বয়সী দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম)। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযান চালায় অভিবাসন বিভাগ। পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টারের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও কর্মীদের একটি দল এই অভিযানে অংশ নেয়।

 

এ সময় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। শুধুমাত্র বয়স জানানো হয়েছে। ওই দুই নারীর বয়স যথাক্রমে ৩০ ও ৩৪ বছর। 
 
পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ৩৬ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাকে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
 
 
অপারেশন টিম ৩০ ও ৩৯ বছর বয়সী আরও দুই বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করেছে যারা ‘সিন্ডিকেট সদস্য’ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়া ৫০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি গ্রাহককেও গ্রেফতার করেছে অভিবাসন বিভাগ।
 
অভিবাসন বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি নারীদের বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ২ হাজার রিঙ্গিতের ভালো চাকরির প্রস্তাব দিয়ে আনার পর তাদের সাথে প্রতারণা করা হয় এবং বিনা বেতনে যৌনদাসী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
 
এছাড়া বিদেশি খদ্দেরদের সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সেবা দিতে তাদেরকে বাধ্য করা হয়। গত এক মাস ধরে ভুক্তভোগীদের কোনো অর্থ প্রদান করা হয়নি। কেবল খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হত।
 
 
অভিবাসন বিভাগ বলেছে, যারা মানব পাচার ও অভিবাসীদের চোরাচালানবিরোধী আইন (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭ (অ্যাক্ট ৬৭০) এর অধীনে অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
১৩৩ বার পড়া হয়েছে

মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার

আপডেট সময় ০৬:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার।

মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার ৩০ ও ৩৪ বয়সী দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম)। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযান চালায় অভিবাসন বিভাগ। পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টারের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও কর্মীদের একটি দল এই অভিযানে অংশ নেয়।

 

এ সময় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। শুধুমাত্র বয়স জানানো হয়েছে। ওই দুই নারীর বয়স যথাক্রমে ৩০ ও ৩৪ বছর। 
 
পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ৩৬ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাকে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
 
 
অপারেশন টিম ৩০ ও ৩৯ বছর বয়সী আরও দুই বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করেছে যারা ‘সিন্ডিকেট সদস্য’ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়া ৫০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি গ্রাহককেও গ্রেফতার করেছে অভিবাসন বিভাগ।
 
অভিবাসন বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি নারীদের বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ২ হাজার রিঙ্গিতের ভালো চাকরির প্রস্তাব দিয়ে আনার পর তাদের সাথে প্রতারণা করা হয় এবং বিনা বেতনে যৌনদাসী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
 
এছাড়া বিদেশি খদ্দেরদের সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সেবা দিতে তাদেরকে বাধ্য করা হয়। গত এক মাস ধরে ভুক্তভোগীদের কোনো অর্থ প্রদান করা হয়নি। কেবল খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হত।
 
 
অভিবাসন বিভাগ বলেছে, যারা মানব পাচার ও অভিবাসীদের চোরাচালানবিরোধী আইন (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭ (অ্যাক্ট ৬৭০) এর অধীনে অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।