ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় চীনের বিশেষ মেডিকেল টিম Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকিরের ফিউনারেল প্যারেড ও জানাজা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান নয় — জানাল আইএসপিআর Logo মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা Logo উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা: উদ্ধার তৎপরতা আপাতত শেষ, পুনরায় শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে Logo “নিজের কাছেই ব্যর্থ, পরিবারগুলিকে কী বলব?”—বিমানের দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়লেন ইউনূস Logo উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২০, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭১ জন

রাতের খাবার দেরিতে খেলে যেসব বিপদ ঘটে শরীরে

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি: সংগৃহীত

খাবার রাতে কখন গ্রহণ করা উচিত এমন প্রশ্নে অনেকেই অবাক হতে পারেন। অনেকেই হয়তো ভাবছেন রাতে দেরিতে খেলে আমার কোনো সমস্যা হয় না। তাই যেকোনো সময়ই রাতের খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন কথা।

 

কর্মব্যস্ত জীবনে বেশির ভাগ লোকই রাতের খাবার দেরিতে খেয়ে থাকে। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চললে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


রাতে খাবার খেতে যত দেরি হবে বিপদের আশঙ্কা ততই বাড়বে। স্বাস্থ্যবিষয়ক কানাডার নিউট্রিশন পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন অফিসের গবেষকরা বলছে, বেশি রাতে খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।
দেরি করে রাতে খাওয়ার কারণে রাতে খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের সময়ের মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকে না। যার কারণে এ সময় খাবার হজম হতে সমস্যা দেখা দেয়।
খাবার হজম হওয়ার সমস্যা পেটে অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা, মাথা ঘোরানো, বমিভাবের মতো সমস্যাগুলো সৃষ্টি করে। গরমের সময় রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস আরও জটিল করে তোলে। কারণ এ সময় বেশি রাতে খাবার গ্রহণ শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাবার খাওয়ার পর হজমপ্রক্রিয়ায় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। গরমের সময় তাই শরীরের বাড়তি তাপমাত্রা একদিকে অস্বস্তিতে ফেলে অন্যদিকে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

রাতে একটানা ঘুমের ক্ষেত্রেও বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস। এই সমস্যার কারণে অনেকে ঘুমের ঘোরে উদ্ভট স্বপ্নও দেখতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এই সমস্যায় শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

এ ছাড়া ওজন বাড়ার প্রবণতার সঙ্গে রাতে দেরি করে খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। সঠিক সময়ে রাতের খাবার না খেলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় এই অভ্যাস অনাকাঙ্ক্ষিত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

 

চিকিৎসকদের মতে, রাতে দেরিতে খাওয়ার অভ্যাসে হতে পারে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের সমস্যা। এসব রোগ রোগীকে সারাজীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়। এ ছাড়া শারীরিক সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসিক সমস্যাও। অকারণ চিন্তা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  অনেককে মানসিক অবসাদে ভোগার পাশাপাশি ঘিরে ধরে ক্লান্তিবোধও। তাই রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণের অভ্যাসে যে দেশ এগিয়ে আছে সে দেশটির নাম রাশিয়া। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য রাশিয়ার লাইফস্টাইলকে অনেকেই মেনে চলতে পারেন। রাশিয়ার সবাই রাতের খাবার গ্রহণ করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। যাতে ঘুম ও রাতে খাবার গ্রহণের মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টা ব্যবধান থাকে। বিশেষজ্ঞরা ছোট বড় সবার ক্ষেত্রে এই সময়টিকেই রাতে খাবার গ্রহণের আদর্শ সময় বলে অভিহিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৮৪ বার পড়া হয়েছে

রাতের খাবার দেরিতে খেলে যেসব বিপদ ঘটে শরীরে

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

খাবার রাতে কখন গ্রহণ করা উচিত এমন প্রশ্নে অনেকেই অবাক হতে পারেন। অনেকেই হয়তো ভাবছেন রাতে দেরিতে খেলে আমার কোনো সমস্যা হয় না। তাই যেকোনো সময়ই রাতের খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন কথা।

 

কর্মব্যস্ত জীবনে বেশির ভাগ লোকই রাতের খাবার দেরিতে খেয়ে থাকে। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চললে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


রাতে খাবার খেতে যত দেরি হবে বিপদের আশঙ্কা ততই বাড়বে। স্বাস্থ্যবিষয়ক কানাডার নিউট্রিশন পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন অফিসের গবেষকরা বলছে, বেশি রাতে খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।
দেরি করে রাতে খাওয়ার কারণে রাতে খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের সময়ের মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকে না। যার কারণে এ সময় খাবার হজম হতে সমস্যা দেখা দেয়।
খাবার হজম হওয়ার সমস্যা পেটে অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা, মাথা ঘোরানো, বমিভাবের মতো সমস্যাগুলো সৃষ্টি করে। গরমের সময় রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস আরও জটিল করে তোলে। কারণ এ সময় বেশি রাতে খাবার গ্রহণ শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাবার খাওয়ার পর হজমপ্রক্রিয়ায় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। গরমের সময় তাই শরীরের বাড়তি তাপমাত্রা একদিকে অস্বস্তিতে ফেলে অন্যদিকে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

রাতে একটানা ঘুমের ক্ষেত্রেও বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস। এই সমস্যার কারণে অনেকে ঘুমের ঘোরে উদ্ভট স্বপ্নও দেখতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এই সমস্যায় শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

এ ছাড়া ওজন বাড়ার প্রবণতার সঙ্গে রাতে দেরি করে খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। সঠিক সময়ে রাতের খাবার না খেলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় এই অভ্যাস অনাকাঙ্ক্ষিত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

 

চিকিৎসকদের মতে, রাতে দেরিতে খাওয়ার অভ্যাসে হতে পারে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের সমস্যা। এসব রোগ রোগীকে সারাজীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়। এ ছাড়া শারীরিক সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসিক সমস্যাও। অকারণ চিন্তা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  অনেককে মানসিক অবসাদে ভোগার পাশাপাশি ঘিরে ধরে ক্লান্তিবোধও। তাই রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণের অভ্যাসে যে দেশ এগিয়ে আছে সে দেশটির নাম রাশিয়া। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য রাশিয়ার লাইফস্টাইলকে অনেকেই মেনে চলতে পারেন। রাশিয়ার সবাই রাতের খাবার গ্রহণ করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। যাতে ঘুম ও রাতে খাবার গ্রহণের মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টা ব্যবধান থাকে। বিশেষজ্ঞরা ছোট বড় সবার ক্ষেত্রে এই সময়টিকেই রাতে খাবার গ্রহণের আদর্শ সময় বলে অভিহিত করেছেন।