ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যে চাপ বেড়েছে Logo রাশিয়ার হামলার পর মিত্রদের প্রতি জেলেনস্কির বাস্তবায়নের আহ্বান Logo ববি হাজ্জাজের ওপর হামলায় জামায়াতের নিন্দা Logo নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র Logo সোহাগ পরিবহন কাউন্টারে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বেলালসহ দুইজন গ্রেফতার Logo পার্বত্য অঞ্চলেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপিত হলো ঈদে মিলাদুন্নবী Logo কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: দাবি ডা. জাহিদের Logo জেলায় জেলায় উঠান বৈঠকে ব্যস্ত এনসিপি, রাজপথে ফেরার প্রস্তুতি Logo পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনারের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক Logo ট্রাম্পের প্রশংসায় মোদির প্রতিক্রিয়া: নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত?

রাতের খাবার দেরিতে খেলে যেসব বিপদ ঘটে শরীরে

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি: সংগৃহীত

খাবার রাতে কখন গ্রহণ করা উচিত এমন প্রশ্নে অনেকেই অবাক হতে পারেন। অনেকেই হয়তো ভাবছেন রাতে দেরিতে খেলে আমার কোনো সমস্যা হয় না। তাই যেকোনো সময়ই রাতের খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন কথা।

 

কর্মব্যস্ত জীবনে বেশির ভাগ লোকই রাতের খাবার দেরিতে খেয়ে থাকে। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চললে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


রাতে খাবার খেতে যত দেরি হবে বিপদের আশঙ্কা ততই বাড়বে। স্বাস্থ্যবিষয়ক কানাডার নিউট্রিশন পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন অফিসের গবেষকরা বলছে, বেশি রাতে খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।
দেরি করে রাতে খাওয়ার কারণে রাতে খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের সময়ের মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকে না। যার কারণে এ সময় খাবার হজম হতে সমস্যা দেখা দেয়।
খাবার হজম হওয়ার সমস্যা পেটে অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা, মাথা ঘোরানো, বমিভাবের মতো সমস্যাগুলো সৃষ্টি করে। গরমের সময় রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস আরও জটিল করে তোলে। কারণ এ সময় বেশি রাতে খাবার গ্রহণ শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাবার খাওয়ার পর হজমপ্রক্রিয়ায় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। গরমের সময় তাই শরীরের বাড়তি তাপমাত্রা একদিকে অস্বস্তিতে ফেলে অন্যদিকে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

রাতে একটানা ঘুমের ক্ষেত্রেও বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস। এই সমস্যার কারণে অনেকে ঘুমের ঘোরে উদ্ভট স্বপ্নও দেখতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এই সমস্যায় শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

এ ছাড়া ওজন বাড়ার প্রবণতার সঙ্গে রাতে দেরি করে খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। সঠিক সময়ে রাতের খাবার না খেলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় এই অভ্যাস অনাকাঙ্ক্ষিত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

 

চিকিৎসকদের মতে, রাতে দেরিতে খাওয়ার অভ্যাসে হতে পারে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের সমস্যা। এসব রোগ রোগীকে সারাজীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়। এ ছাড়া শারীরিক সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসিক সমস্যাও। অকারণ চিন্তা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  অনেককে মানসিক অবসাদে ভোগার পাশাপাশি ঘিরে ধরে ক্লান্তিবোধও। তাই রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণের অভ্যাসে যে দেশ এগিয়ে আছে সে দেশটির নাম রাশিয়া। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য রাশিয়ার লাইফস্টাইলকে অনেকেই মেনে চলতে পারেন। রাশিয়ার সবাই রাতের খাবার গ্রহণ করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। যাতে ঘুম ও রাতে খাবার গ্রহণের মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টা ব্যবধান থাকে। বিশেষজ্ঞরা ছোট বড় সবার ক্ষেত্রে এই সময়টিকেই রাতে খাবার গ্রহণের আদর্শ সময় বলে অভিহিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
১২৫ বার পড়া হয়েছে

রাতের খাবার দেরিতে খেলে যেসব বিপদ ঘটে শরীরে

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

খাবার রাতে কখন গ্রহণ করা উচিত এমন প্রশ্নে অনেকেই অবাক হতে পারেন। অনেকেই হয়তো ভাবছেন রাতে দেরিতে খেলে আমার কোনো সমস্যা হয় না। তাই যেকোনো সময়ই রাতের খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন কথা।

 

কর্মব্যস্ত জীবনে বেশির ভাগ লোকই রাতের খাবার দেরিতে খেয়ে থাকে। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চললে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


রাতে খাবার খেতে যত দেরি হবে বিপদের আশঙ্কা ততই বাড়বে। স্বাস্থ্যবিষয়ক কানাডার নিউট্রিশন পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন অফিসের গবেষকরা বলছে, বেশি রাতে খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।
দেরি করে রাতে খাওয়ার কারণে রাতে খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের সময়ের মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকে না। যার কারণে এ সময় খাবার হজম হতে সমস্যা দেখা দেয়।
খাবার হজম হওয়ার সমস্যা পেটে অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা, মাথা ঘোরানো, বমিভাবের মতো সমস্যাগুলো সৃষ্টি করে। গরমের সময় রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস আরও জটিল করে তোলে। কারণ এ সময় বেশি রাতে খাবার গ্রহণ শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাবার খাওয়ার পর হজমপ্রক্রিয়ায় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। গরমের সময় তাই শরীরের বাড়তি তাপমাত্রা একদিকে অস্বস্তিতে ফেলে অন্যদিকে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

রাতে একটানা ঘুমের ক্ষেত্রেও বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস। এই সমস্যার কারণে অনেকে ঘুমের ঘোরে উদ্ভট স্বপ্নও দেখতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এই সমস্যায় শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

এ ছাড়া ওজন বাড়ার প্রবণতার সঙ্গে রাতে দেরি করে খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। সঠিক সময়ে রাতের খাবার না খেলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় এই অভ্যাস অনাকাঙ্ক্ষিত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

 

চিকিৎসকদের মতে, রাতে দেরিতে খাওয়ার অভ্যাসে হতে পারে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের সমস্যা। এসব রোগ রোগীকে সারাজীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়। এ ছাড়া শারীরিক সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসিক সমস্যাও। অকারণ চিন্তা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  অনেককে মানসিক অবসাদে ভোগার পাশাপাশি ঘিরে ধরে ক্লান্তিবোধও। তাই রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণের অভ্যাসে যে দেশ এগিয়ে আছে সে দেশটির নাম রাশিয়া। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য রাশিয়ার লাইফস্টাইলকে অনেকেই মেনে চলতে পারেন। রাশিয়ার সবাই রাতের খাবার গ্রহণ করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। যাতে ঘুম ও রাতে খাবার গ্রহণের মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টা ব্যবধান থাকে। বিশেষজ্ঞরা ছোট বড় সবার ক্ষেত্রে এই সময়টিকেই রাতে খাবার গ্রহণের আদর্শ সময় বলে অভিহিত করেছেন।