ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন।

মুন্সীগঞ্জে গলার স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু তকির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে এই রায় দেন মুন্সীগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।


ঘটনার ১৪ বছর এই রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা। তবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি রবিউল্লাহ ও হান্নান মিয়াকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।


আদালতে উপস্থিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি আবুল হোসেন, ময়না মিয়া ও আনোয়ার হোসেন রায় শুনে মুষড়ে পড়েন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলতলা এলাকায় দশ বছরের শিশু তকিরকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা মুন্সীগঞ্জ শহরের মার্কেটে যায়। পরে বিকাল ৪ টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে তকিরকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।

কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেন তকিরের মা ঝর্ণা বেগম।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর ২ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশু তকিরের মরদেহের সন্ধান মিলে।

ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর পাশের এলাকার চিহ্নিত চোর রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে একে একে এই ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
রিমান্ডে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিতে তকিরকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করে আসামিরা।

আদালতটির সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, দীর্ঘ  বিচারকার্য শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
১৩৫ বার পড়া হয়েছে

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন।

মুন্সীগঞ্জে গলার স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু তকির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে এই রায় দেন মুন্সীগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।


ঘটনার ১৪ বছর এই রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা। তবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি রবিউল্লাহ ও হান্নান মিয়াকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।


আদালতে উপস্থিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি আবুল হোসেন, ময়না মিয়া ও আনোয়ার হোসেন রায় শুনে মুষড়ে পড়েন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলতলা এলাকায় দশ বছরের শিশু তকিরকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা মুন্সীগঞ্জ শহরের মার্কেটে যায়। পরে বিকাল ৪ টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে তকিরকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।

কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেন তকিরের মা ঝর্ণা বেগম।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর ২ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশু তকিরের মরদেহের সন্ধান মিলে।

ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর পাশের এলাকার চিহ্নিত চোর রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে একে একে এই ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
রিমান্ডে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিতে তকিরকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করে আসামিরা।

আদালতটির সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, দীর্ঘ  বিচারকার্য শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন।