ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo আইনজীবীকে হিন্দু ভেবে হত্যা করেছে দুষ্কৃতিকারীরা, দাবি সনাতনী জোটের Logo ভৈরবে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার Logo উসকানিতে সাড়া না দেয়ার আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের Logo কোনো সম্প্রদায়ের নেতা নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় দাস গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ Logo চট্টগ্রামে চিন্ময় অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর Logo এবারের আইপিএল মেগা নিলামের ১০ দামি খেলোয়াড় Logo পিটিআই’র বিক্ষোভ : মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের Logo চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষে সরকারি আইনজীবী নিহত, শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত Logo ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চায় না বেশিরভাগ মানুষ: জরিপ Logo চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

বাউফলে যুবদল নেতা ও ২ শিক্ষক হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বাউফলে যুবদল নেতা ও ২ শিক্ষক হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি।

বাউফল (পটুয়াখালী) করেসপনডেন্ট:

২০১৩ সালের বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মনির মৃধা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও ২০০১ সালের দুই শিক্ষক হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে খালাস পাওয়া আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব এবং তার ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানসহ অন্যান্য আসামীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বগা বন্দরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত যুবদল নেতা মনির মৃধার পরিবার, শিক্ষক দেলোয়ার ও প্রভাষক জলিলের পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে যুবদল নেতা মনির হত্যার ঘটনায় দ্রুত সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মোতালেব ও তার ছেলে হাসানসহ সকল হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং দুই শিক্ষক হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন করার দাবি জানান বক্তারা।

পরিবারের সদস্যরা বলেন, মনির মৃধার হত্যার একযুগ পেড়িয়ে গেছে। পুলিশের দুটি সংস্থা ঘুরে বর্তমানে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। তবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এছাড়াও ২০০১ সালে স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে প্রভাষক জলিল মুন্সি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ১০ আসামীকে খালাস দেয় এবং আবদুল মোতালেব ও তার ছেলে মাহমুদ হাসানসহ ১৮ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২০১৪ সালে সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন ও আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাব বিস্তার করে ৪ আসামী পলাতক থাকা অবস্থায় ১৮ জনকেই খালাস করে দেন এবং পরে তারা আপিল বিভাগে দাখিল করা সিপিগুলো ডিসমিসড করিয়ে নেয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের হাইকোর্টের মামলাটির রায় ঘোষণার আগে পলাতক ৪ আসামী কোনো ধরনের আবেদন করেনি। এরপরও প্রভাব খাটিয়ে এই দুজনসহ ১৮ জনকে খালাস দিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
৩১ বার পড়া হয়েছে

বাউফলে যুবদল নেতা ও ২ শিক্ষক হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি

আপডেট সময় ০৮:১৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বাউফলে যুবদল নেতা ও ২ শিক্ষক হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি।

বাউফল (পটুয়াখালী) করেসপনডেন্ট:

২০১৩ সালের বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মনির মৃধা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও ২০০১ সালের দুই শিক্ষক হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে খালাস পাওয়া আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব এবং তার ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানসহ অন্যান্য আসামীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বগা বন্দরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত যুবদল নেতা মনির মৃধার পরিবার, শিক্ষক দেলোয়ার ও প্রভাষক জলিলের পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে যুবদল নেতা মনির হত্যার ঘটনায় দ্রুত সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মোতালেব ও তার ছেলে হাসানসহ সকল হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং দুই শিক্ষক হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন করার দাবি জানান বক্তারা।

পরিবারের সদস্যরা বলেন, মনির মৃধার হত্যার একযুগ পেড়িয়ে গেছে। পুলিশের দুটি সংস্থা ঘুরে বর্তমানে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। তবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এছাড়াও ২০০১ সালে স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে প্রভাষক জলিল মুন্সি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ১০ আসামীকে খালাস দেয় এবং আবদুল মোতালেব ও তার ছেলে মাহমুদ হাসানসহ ১৮ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২০১৪ সালে সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন ও আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাব বিস্তার করে ৪ আসামী পলাতক থাকা অবস্থায় ১৮ জনকেই খালাস করে দেন এবং পরে তারা আপিল বিভাগে দাখিল করা সিপিগুলো ডিসমিসড করিয়ে নেয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের হাইকোর্টের মামলাটির রায় ঘোষণার আগে পলাতক ৪ আসামী কোনো ধরনের আবেদন করেনি। এরপরও প্রভাব খাটিয়ে এই দুজনসহ ১৮ জনকে খালাস দিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।