সিটির হার, জেতেনি বার্সাও
সিটির হার, জেতেনি বার্সাও।
নিজ নিজ লিগে জয়ের দেখা পায়নি দুই জায়ান্ট ম্যনচেস্টার সিটি ও বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের কাছে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। অপরদিকে, এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত সেল্টা ভিগোর সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ইপিএলের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটসপারের বিপক্ষে নিজেদের ছায়া হয়ে থেকেছে ম্যানচেস্টার সিটি। অতিথি দলের আক্রমণ সামলাতে বেগ পেতে হয় স্বাগতিকদের। ইংলিশ ফুটবলের ৬৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম শিরোপাধারী কোনো ক্লাব সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৫ ম্যাচ হারের রেকর্ড তৈরি করেছে সিটিজেনরা।
ব্যর্থতার বলয় ভাঙার মিশনে খেলার ১৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ডেজান কুলুস্কির দারুণ ক্রস থেকে টটেনহ্যামকে ১-০ গোলে লিড এনে দেন জেমস ম্যাডিসন। আনন্দের রেশ না কাটতেই ৭ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
সুযোগ পেয়েও গোল পরিশোধে ব্যর্থ হয় ম্যানসিটি। উল্টো ৫২ মিনিটে সোলাঙ্কের অ্যাসিস্ট থেকে দলকে ৩-০ গোলের লিড এনে দেন পেড্রো পোরো। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যানচেস্টার সিটির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন বার্ন্যান জনসন। টিমো ওয়ার্নারের নেয়া শটে স্লাইড করে বল জালে পাঠিয়ে দেন এই ওয়েলস ফরওয়ার্ড। বড় জয় নিশ্চিত হয় টটেনহ্যাম হটসপারের।
অপরদিকে, লা লিগায় সেল্টা ভিগোর মাঠে ইনজুরির কারণে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে লামিন ইয়ামালকে ছাড়াই মাঠে নামে বার্সেলোনা। শুরুতে নিজেদের গুছিয়ে নিতে খানিকটা সময় নেয় লিগ টপাররা। তবে খেলার ১৫ মিনিট ভালো একটি আক্রমণে এগিয়ে যায় কাতালানরা। জুলস কৌন্দের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে স্কোরলাইন ১-০ করেন রাফিনিয়া।
লিড ধরে রেখে পরিকল্পিত আক্রমণে স্বাগতিক ডিফেন্সকে ব্যস্ত রাখে বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে সমানতালে লড়তে থাকে দুই দল। ৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। সেল্টার রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে জালের ঠিকানা খুজেঁ নেন পোলিশ তারকা।
খেলার ৮২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সা মিডফিল্ডার কাসাদো। এই সুযোগ প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে খেলার ৮৪ ও ৮৬ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় সেল্টা ভিগো। ফলে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সেলোনাকে।