ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রাঙ্গামাটির ক্রীড়া অবকাঠামো নিয়ে হতাশ বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর Logo সোজা আঙুলে না উঠলে বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই: জামায়াত নেতা তাহের Logo তিন বছরে রাহা: ভাইয়ের মেয়েকে জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা রণবীরের বোনের Logo ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস, তার মধ্যস্থাতেই শান্তি স্থাপন Logo প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন Logo জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুললেন বিএনপি নেতা আলাল Logo ইমরান হাশমির কারণে স্কুলে যেতে লজ্জা পাচ্ছেন তার ছেলে আয়ান! Logo স্বর্ণপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কমেছে ভরিপ্রতি দাম Logo প্রেম, পরকীয়া আর বিতর্কে টালমাটাল ব্রিটিশ রাজপরিবার Logo সুদানে আরএসএফ বাহিনীর তাণ্ডব, মানবিক বিপর্যয় তীব্র

যে সময় নামাজ পড়া হারাম

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

নামাজ ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির একটি। প্রত্যেক মুসলমানকে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। নামাজ পড়ার নির্ধারিত সময় আছে। এছাড়া নফল ও অন্যান্য নামাজ পড়ার নির্ধারিত সময় না থাকলেও কিছু সময় আছে যে সময় কোনো নামাজই পড়া যায় না।

 

দিনরাতে তিনটি সময়ে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ, মহানবী (স.) বলেন, আসরের নামাজের পর সূর্য না ডোবা পর্যন্ত আর কোনও নামাজ নেই। ফজরের নামাজের পর সূর্য না ওঠা পর্যন্ত আর কোন নামাজ নেই। (বুখারি ১০৪১)

 
 
হজরত উকবা বিন আমের (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রসুল (স.) আমাদেরকে তিন সময়ে নামাজ পড়তে ও মুর্দা দাফন করতে নিষেধ করতেন। এক. ঠিক সূর্য উদয় হওয়ার পর থেকে একটু উঁচু না হওয়া পর্যন্ত, দুই. সূর্য ঠিক মাথার উপর আসার পর থেকে একটু ঢলে না যাওয়া পর্যন্ত। তিন. সূর্য ডোবার কাছাকাছি হওয়া থেকে ডুবে না যাওয়া পর্যন্ত। (মুসলিম আবু দাউদ, নাসাঈ) যেহেতু এই সময়গুলিতে সাধারণত কাফেররা সূর্যের পূজা করে থাকে তাই নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। (মুসলিম, মিশকাত ১০৪২)
 
হজরত সাহাবি উকবা বিন আমের জুহানি (রা.) বলেন, ‘তিনটি সময়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নামাজ পড়তে ও মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়।’ (সুবুলুস সালাম ১/১১১, মুসলিম ১/৫৬৮)
 
সূর্য উঠার শুরু থেকে হলুদ আলো পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সময়টুকুতে সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। ফকিহরা গবেষণা করে দেখেছেন সূর্য উঠার পর হলুদ আলো দূর হতে ২০ মিনিট সময় লাগে। অর্থাৎ আবহাওয়া অফিস যদি বলে, সকাল ছয়টায় সূর্য উঠবে, তার মানে ৬টা ২০ পর্যন্ত সব ধরনের নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
 
সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপরে থাকে তখনও সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা নিষেধ। আরবি ভাষায় এ সময়কে ‘জাওয়াল’ বলে। যখন সূর্য একটু হেলে পড়বে তখন জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। এ সময় সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা জায়েজ। সূর্য মাথার ওপর থেকে হেলে পড়তে বেশি সময় লাগে না। ফকিহরা সতর্কতাবশত সূর্য মাথার ওপরে উঠার পাঁচ মিনিট আগে এবং পাঁচ মিনিট পর পর্যন্ত নামাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
 
সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে ডুবতে শুরু করে তারপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানাভী রহ. বলেন, এ তিন সময়ে জানাজার নামাজ এবং মৃতকে দাফন করাও নিষেধ। তবে মৃতকে তাড়াতাড়ি দাফন করার প্রয়োজন হলে জানাজা পড়িয়ে দাফন করার অনুমতি আছে।
 
 
এছাড়াও কেউ যদি কারণবশত আসর নামাজ পড়তে ভুলে যায়, তাহলে সূর্য ডুবতে শুরু করার আগে আগে আসরের নামাজের নিয়ত বাঁধলে আর এর মধ্যে সূর্য ডোবা শুরু হয়ে গেলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। সূর্য ডোবা শুরু হয়ে গেলে আর আসর নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে না। তখন আসরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। 

নামাজ
নামাজের ভুল
নামাজের সময়সূচি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
২৫৪ বার পড়া হয়েছে

যে সময় নামাজ পড়া হারাম

আপডেট সময় ০৯:১৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

নামাজ ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির একটি। প্রত্যেক মুসলমানকে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। নামাজ পড়ার নির্ধারিত সময় আছে। এছাড়া নফল ও অন্যান্য নামাজ পড়ার নির্ধারিত সময় না থাকলেও কিছু সময় আছে যে সময় কোনো নামাজই পড়া যায় না।

 

দিনরাতে তিনটি সময়ে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ, মহানবী (স.) বলেন, আসরের নামাজের পর সূর্য না ডোবা পর্যন্ত আর কোনও নামাজ নেই। ফজরের নামাজের পর সূর্য না ওঠা পর্যন্ত আর কোন নামাজ নেই। (বুখারি ১০৪১)

 
 
হজরত উকবা বিন আমের (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রসুল (স.) আমাদেরকে তিন সময়ে নামাজ পড়তে ও মুর্দা দাফন করতে নিষেধ করতেন। এক. ঠিক সূর্য উদয় হওয়ার পর থেকে একটু উঁচু না হওয়া পর্যন্ত, দুই. সূর্য ঠিক মাথার উপর আসার পর থেকে একটু ঢলে না যাওয়া পর্যন্ত। তিন. সূর্য ডোবার কাছাকাছি হওয়া থেকে ডুবে না যাওয়া পর্যন্ত। (মুসলিম আবু দাউদ, নাসাঈ) যেহেতু এই সময়গুলিতে সাধারণত কাফেররা সূর্যের পূজা করে থাকে তাই নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। (মুসলিম, মিশকাত ১০৪২)
 
হজরত সাহাবি উকবা বিন আমের জুহানি (রা.) বলেন, ‘তিনটি সময়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নামাজ পড়তে ও মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়।’ (সুবুলুস সালাম ১/১১১, মুসলিম ১/৫৬৮)
 
সূর্য উঠার শুরু থেকে হলুদ আলো পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সময়টুকুতে সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। ফকিহরা গবেষণা করে দেখেছেন সূর্য উঠার পর হলুদ আলো দূর হতে ২০ মিনিট সময় লাগে। অর্থাৎ আবহাওয়া অফিস যদি বলে, সকাল ছয়টায় সূর্য উঠবে, তার মানে ৬টা ২০ পর্যন্ত সব ধরনের নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
 
সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপরে থাকে তখনও সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা নিষেধ। আরবি ভাষায় এ সময়কে ‘জাওয়াল’ বলে। যখন সূর্য একটু হেলে পড়বে তখন জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। এ সময় সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা জায়েজ। সূর্য মাথার ওপর থেকে হেলে পড়তে বেশি সময় লাগে না। ফকিহরা সতর্কতাবশত সূর্য মাথার ওপরে উঠার পাঁচ মিনিট আগে এবং পাঁচ মিনিট পর পর্যন্ত নামাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
 
সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে ডুবতে শুরু করে তারপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানাভী রহ. বলেন, এ তিন সময়ে জানাজার নামাজ এবং মৃতকে দাফন করাও নিষেধ। তবে মৃতকে তাড়াতাড়ি দাফন করার প্রয়োজন হলে জানাজা পড়িয়ে দাফন করার অনুমতি আছে।
 
 
এছাড়াও কেউ যদি কারণবশত আসর নামাজ পড়তে ভুলে যায়, তাহলে সূর্য ডুবতে শুরু করার আগে আগে আসরের নামাজের নিয়ত বাঁধলে আর এর মধ্যে সূর্য ডোবা শুরু হয়ে গেলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। সূর্য ডোবা শুরু হয়ে গেলে আর আসর নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে না। তখন আসরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। 

নামাজ
নামাজের ভুল
নামাজের সময়সূচি