ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রাঙ্গামাটির ক্রীড়া অবকাঠামো নিয়ে হতাশ বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর Logo সোজা আঙুলে না উঠলে বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই: জামায়াত নেতা তাহের Logo তিন বছরে রাহা: ভাইয়ের মেয়েকে জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা রণবীরের বোনের Logo ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস, তার মধ্যস্থাতেই শান্তি স্থাপন Logo প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন Logo জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুললেন বিএনপি নেতা আলাল Logo ইমরান হাশমির কারণে স্কুলে যেতে লজ্জা পাচ্ছেন তার ছেলে আয়ান! Logo স্বর্ণপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কমেছে ভরিপ্রতি দাম Logo প্রেম, পরকীয়া আর বিতর্কে টালমাটাল ব্রিটিশ রাজপরিবার Logo সুদানে আরএসএফ বাহিনীর তাণ্ডব, মানবিক বিপর্যয় তীব্র

শিক্ষার্থীদের কাছে ধারালো বস্তু ছিল, আহত হয়েছে পুলিশ: রমনা ডিসি

নিজস্ব সংবাদ :

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা শহরের শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পুলিশ—উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ ধরনের কিছু ছিল, যা দিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “শাহবাগের মতো ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সৃষ্টি করছিল শিক্ষার্থীরা। তারপরও আমরা তাদের সরাসরি কিছু বলিনি বা হঠিয়ে দেইনি।”

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছিল এবং ইতোমধ্যেই একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল, যা আন্দোলনকারীরা চাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করে আধা ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান শেষ করার কথা ছিল। তবে হঠাৎ করেই তারা ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকের মোড়ে এগিয়ে যায় এবং পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে।

ডিসি মাসুদ বলেন, “তারা যমুনা এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হলে আমরা পরিস্থিতি শান্তভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় জলকামান ব্যবহার করতে হয়। ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে, এবং ধারালো কিছু বস্তু থাকার কারণে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে।”

সংঘর্ষে নিজেও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান ডিসি। তিনি বলেন, “তারা সামনের সারি থেকে আক্রমণ চালিয়েছে, পেছন থেকেও ঢিল ছোড়া হয়েছে। যদিও তাদের মধ্য থেকেও অনেকে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করেছেন এবং আহত হয়েছেন। তবে এখনই সঠিকভাবে আহতের সংখ্যা বলা সম্ভব নয়, অনেকে হাসপাতালে, কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।”

নিরাপত্তা ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, “যদি আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসায় পৌঁছে যায়, তাহলে পুলিশের আর কিছু করণীয় থাকে না। এ অবস্থায় রাষ্ট্র বা সরকারই প্রশ্ন তুলবে আমাদের দায়িত্ব নিয়ে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:১৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
১১৪ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষার্থীদের কাছে ধারালো বস্তু ছিল, আহত হয়েছে পুলিশ: রমনা ডিসি

আপডেট সময় ০৭:১৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা শহরের শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পুলিশ—উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ ধরনের কিছু ছিল, যা দিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “শাহবাগের মতো ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সৃষ্টি করছিল শিক্ষার্থীরা। তারপরও আমরা তাদের সরাসরি কিছু বলিনি বা হঠিয়ে দেইনি।”

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছিল এবং ইতোমধ্যেই একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল, যা আন্দোলনকারীরা চাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করে আধা ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান শেষ করার কথা ছিল। তবে হঠাৎ করেই তারা ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকের মোড়ে এগিয়ে যায় এবং পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে।

ডিসি মাসুদ বলেন, “তারা যমুনা এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হলে আমরা পরিস্থিতি শান্তভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় জলকামান ব্যবহার করতে হয়। ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে, এবং ধারালো কিছু বস্তু থাকার কারণে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে।”

সংঘর্ষে নিজেও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান ডিসি। তিনি বলেন, “তারা সামনের সারি থেকে আক্রমণ চালিয়েছে, পেছন থেকেও ঢিল ছোড়া হয়েছে। যদিও তাদের মধ্য থেকেও অনেকে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করেছেন এবং আহত হয়েছেন। তবে এখনই সঠিকভাবে আহতের সংখ্যা বলা সম্ভব নয়, অনেকে হাসপাতালে, কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।”

নিরাপত্তা ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, “যদি আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসায় পৌঁছে যায়, তাহলে পুলিশের আর কিছু করণীয় থাকে না। এ অবস্থায় রাষ্ট্র বা সরকারই প্রশ্ন তুলবে আমাদের দায়িত্ব নিয়ে।”